Table of Contents
Model Activity Task Class 5 Bengali Part 8
প্রিয় বন্ধুগণ যদি তুমিও পঞ্চম শ্রেণীর বাংলার মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তর খুঁজছ তাহলে তুমি সঠিক জায়গায় এসেছো।আমাদের ওয়েবসাইট তুমি Model Activity Task Class 3 Bengali পেয়ে যাবে।

১. একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১ × ১০ = ১০
১.১ ‘আয়রে ছুটে ছোট্টরা’— ছোটোদের কেন ছুটে আসতে হবে?
উত্তরঃ ছোটোদের ছুটে আসতে হবে কারন গল্পবুড়ো তাঁর ঝুলিতে করে অনেক রকম মন ভরানো রূপকথার গল্প নিয়ে এসেছে।
১.২´… আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।’—জোয়ানদের ঘাঁটিটি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ জোয়ানদের ঘাঁটিটি ছিল লাডাকের একটি বরফের ঢাকা নির্জন জায়গাতে।
১.৩ ‘দারোগাবাবু এবং হাবু’ কবিতায় মেজদার পোষ্য কারা?
উত্তরঃ ‘দারোগাবাবু ও হাবু’ কবিতায় মেজদার পোষ্য হল আটটা কুকুর |
১.৪ ‘উলগুলান’ কাদের লড়াই?
উত্তরঃ উলগুলান হল ইংরেজ সাহেবদের সাথে মুন্ডাদের লড়াই।
১.৫ ‘কেউ করে না মানা।’ — কার কোন কাজে কেউ নিষেধ করে না?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় সারা আকাশ জুড়ে মেঘ খেলে বেড়ায়, তার এই কাজে কেউ নিষেধ করে না।
১.৬ ‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।’ — কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল?
উত্তরঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘বোকা কুমিরের কথা’ গল্পে ধান চাষের সময় কুমীর বলেছিল- ‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে’।
১.৭ ‘মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি !’ – ‘অথই’ এবং ‘অগাধ’ শব্দ দুটির অর্থ লেখো।
উত্তরঃ ক. অথই শব্দের অর্থ – যেন তল নেই এমন গভীর – খ. অগাধ শব্দের অর্থ – প্রচুর / অসাঁম/ অনন্ত
১.৮ ‘ঝড়’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম লেখো।
উত্তরঃ মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ঝর’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম হলো – বকুল গাছ ও চাঁপা গাছ।
১.৯ ‘ট্যাক্’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ শিবশঙ্কর মিত্রের ‘মধু আনতে বাঘের মুখে’ নামক গল্পে ‘ট্যাক’ কথাতি রয়েছে। ত্রিভুজ আঁকারের জমির মাথাকে ট্যাক্ বলে। সাধারণত দুটো নদীর মিলন স্থলে এই রকম ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
১.১০ ‘করুণা করি বাঁচাও মোরে এসে’ – কখন ফণীমনসা একথা বলেছে?
উত্তরঃ বীরু চট্টোপাধ্যায়ের “ফণীমনসা ও বনের পরি” নামক নাটকে ডাকাতেরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে ফণীমনসা গাছটিকে একে বাড়ে ন্যাড়া করে রেখে যায় । তখন সে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছে।
২. নিজের ভাষায় উত্তর দাও : ২ x ১০ = ২০
২.১ ‘গল্পবুড়ো’ কবিতায় রূপকথার কোন্ কোন্ প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তরঃ সুনির্মল বসুর লেখা ‘গল্পবুড়ো’ কবিতায় কবি রূপ কথার যে যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সেগুলি হলো – দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ, প্রভৃতি আজগুবি গল্প ছাড়াও কড়ির পাহাড়, সোনার কাঠি, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী প্রভৃতি।
২.২ —এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।’—জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে ‘বুনোহাঁস’ গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ লীলা মজুমদারের লেখা ‘বুনোহাঁস’ গদ্যাংশে, শীতের শুরুতে একঝাঁক বুনোহাঁসকে উত্তর থেকে দক্ষিণের গরমের দেশের দিকে উড়ে যেতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একটি হাঁসের ডানা জখম হওয়ায় সেটি লাদাখে জওয়ানদের ঘাঁটির কাছে নেমে আসে যাকে দেখে আর একটা হাঁসও নীচে নেমে আসে। জখম হাঁসটিকে জওয়ানরা তুলে এনে তাদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রাখে এবং টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি ইত্যাদি জোয়ানরা খেতে দেয়। ধীরে ধীরে জখম হাঁসটি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং উড়তে পারে। এইভাবে হাঁসদুটোকে দেখতে দেখতে জোয়ানদের শীত কালটি কেটে যায়।
২.৩ ‘নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/ শুনুন বড়োবাবু।’—থানায় বড়োবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তরঃ হাবু বড় বাবুর কাছে নালিশ জানালো কারন তারা চারজন ভাই থাকে একটা ঘরেই। সেই ঘরে থাকে তার বড়দার ছোট-বড়ো সাতটা বেড়াল। আর মেজদার আটটা কুকুর, হাবুর সেজদাও সেই ঘরে তার পোষা দশটা ছাগল বেঁধে রাখেন। কতগুলি প্রাণীর গায়ের গন্ধে হাবুর এমন অবস্থা যে তার প্রাণ যায়।
২.৪ ‘এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া।’— উদ্ধৃতিটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ – এর মূল চরিত্র এতোয়া সব সময় ব্যস্ত থাকে গরু ছাগল মেষ চরাতে। বাগানে গরু চরাতে চরাতে টক আম, শুকনো কাঠ, মেটে আলু, পুকুর পাড় থেকে তোলা শাক সবাই সে বস্তায় ভরে নেয়। ঘন সবুজ ঘাস বনে গোরু মোষ ছেড়ে দিয়ে ডুলং নদীর ধারে বসে। আবার সে সুবর্ণরেখা নদীতে বাঁশের বোনা জালটাকে পেতে নিজেকে রাজা ভাবতে থাকে।
২.৫ ‘বিমলার অভিমান’ কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ ‘বিমলার অভিমান’ কবিতায় বিমলা বাড়ির ছোট মেয়ে। তাকে দিয়ে সারাদিন অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া হয়, যেমন ফুলতোলা, পূজা করা, বাচ্চাদের সামলানো, ছাগলে তাড়ানো, নুন আনায় পানের জন্য চুন আনা ইত্যাদি, আর খাওয়ার সময় দাদা আর অবনীকে তার চেয়ে বেশী ক্ষীর দেওয়ায় বিমলার অভিমান হয়।
২.৬ ‘ছাদটা ছিল আমার কোতাবে- পড়া মরুভূমি…’- ‘ছেলেবেলা’ রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ ‘ছেলেবেলা’ রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গতে জানা যায় বালক রবীন্দ্রনাথের কাছে বাইরের খোলা ছাদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ। ছোটো থেকে বড় বয়স পর্যন্ত নানান স্মৃতি ওই ছাদে নানাভাবে বয়ে চলেছে। রবীন্দ্রনাথের পিতার জায়গা ছিল তেতলার ঘরে। মাঝে মাঝেই তার পিতা পাহাড়ে পর্বতে বেড়াতে চলে যেতেন তখন ওই ছাদে গিয়ে উঠতেন। সকলে যখন পেট ভরে খেয়ে ঘুম দিচ্ছে তখন সে চুপিসারে পাড়ি দিত ছাদে। ছাদটা ছিল তার কাছে কেতাবে মরুভূমি যেন চারিদিক ধূ ধূ করছে, গরম বাতাস ধূলো উড়িয়ে হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। আর এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দেয়। লেখক ছুটে চলে যেত তেতলার স্নানের ঘরে। ধরাজলে স্নান সেরে সহজ মানুষ হয়ে বসতো।
২.৭ ‘তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান’- কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন্ গানটি মনে পড়ে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর” কবিতা অনুসারে বৃষ্টির দিনে কথকের ছেলেবেলার যে গানটি মনে পড়ে সেটি হল- “বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান”
২.৮ ‘ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলো’। — বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল?
উত্তরঃ ‘পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে’ গল্পে পৃথিবীতে যখন খরা চলছে তখন ব্যাং স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হলো। সে ঠিক করেছিল যে ভগবানকে জিজ্ঞাসা করবে কেন সৃষ্টিকে অর্থাৎ পৃথিবী কে জল থেকে অবহেলা করছে। সে সকালে বেলা যাত্রা শুরু করে এবং সে জানতো যে ভগবানের কাছে যাওয়ার জন্য রাস্তা অত্যন্ত ক্লান্তিকর, সে যখন তার গন্তব্যে যাচ্ছিল তখন তার সঙ্গে ব্যাং, মৌমাছি, মোরগ, বাঘ এর সঙ্গে দেখা হয় তারাও ব্যাঙ এর সাথে যাত্রায় যোগ দেয়। এইভাবে তারা গেল এবং পৃথিবীতে বৃষ্টি নামিয়ে আনলো।
২.৯ ‘ভেবে পাই নে নিজে’ – কবি কী ভেবে পান না? –
উত্তরঃ ‘মায়াতরু’ কবিতায় গাছটিকে দিনের এক এক সময় ও আলো আধারি বর্ষায় এক এক রকম দেখতে লাগে। অনেকটা যেন মায়ার খেলা দেখা যেত গাছটিকে সন্ধ্যা বেলায় কাছ থেকে দুই হাত তুলে ভূতের নাচ করতে দেখেছেন কবি, আবার রাত্রিতে ভালুকের মতো জ্বর আসতো, এছাড়াও বৃষ্টি থামলেই লক্ষ্য হীরার মাছ গাছটির মাথায় যেন মুকুট হয়ে যেত । এইভাবে কবি কল্পনা করতে করতে তিনি যেন কল্পনার জগতে হারিয়ে যান তাই তিনি আর কিছু ভেবে পান না।
২.১০ ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তরঃ ‘সূত্রধার’ শব্দের অর্থ হলো নাটকের প্রস্তাবক অর্থাৎ নট। ‘ফনিমনসা ও বনের পরি’ নাটক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূত্রধরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। সমস্ত নাটকটি ফনিমনসা ও বনের পরি চরিত্রকে নিয়ে গড়ে উঠলেও সমগ্র নাটকটিতেই সূত্রধারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য দৃশ্যের বিবরণ, ঘটনাগুলি পরিবর্তন, আমরা দেখতে পাই তাই নাটকটিতে সুত্রধার এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩. নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১ × ৫ = ৫
৩.১ সন্ধি করো :
৩.১.১ মিশি + কালো
উত্তরঃ মিশি + কালো = মিশকালো
৩.১.২ এত + দিন
উত্তরঃ এত + দিন = এদ্দিন
৩.১.৩ বড়ো + ঠাকুর
উত্তরঃ বড়ো + ঠাকুর = বটঠাকুর
৩.১.৪ সৎ + গ্রন্থ
উত্তরঃ সৎ + গ্রন্থ = সদ্গ্রন্থ
৩.১.৫ দিক্ + নির্ণয়
উত্তরঃ দিক্ + নির্ণয় = দিঙনির্ণয়
৩.২ নীচের পদগুলি ব্যঞ্জন সন্ধির কোন্ কোন্ নিয়ম মেনে বদ্ধ হয়েছে, লেখো : ১ × ৫ = ৫
৩.২.১ প্রচ্ছদ
উত্তরঃ প্র+ছদ
৩.২.২ প্রাগৈতিহাসিক
উত্তরঃ প্রাক+ঐতিহাসিক
৩.২.৩ সদিচ্ছা
উত্তরঃ সৎ+ইচ্ছা
৩.২.৪ বিদ্যুদবেগ
উত্তরঃ বিদ্যুৎ+বেগ
৩.২.৫ পদ্ধতি
উত্তরঃপদ+হতি